Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
Stories
Attachments

দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি হাট বাজার রয়েছে। এর মধ্যে ঘড়িলাল ও জোড়শিং অন্যতম। ঘড়িলাল স্থানটি কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তি স্থলে অবস্থিত। আড়পাংগাশিয়া নদী থেকে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তি। আর এরই পাশে ঘড়িলাল গ্রামের বিখ্যাত হাট ও বাজার ঘড়িলাল। ঘড়িলাল গ্রামের ঘড়িলাল এর নাম করনের সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তবে কথিত আছে যে, ঘড়িয়াল তেকে ঘড়িলাল নামের উৎপত্তি। কুমিরের মতন দেখতে একটি অদ্ভুত রকমের প্রাণী হচ্ছে ঘড়িয়াল বা মেছ কুমির। ঘড়িয়ালের মাথা কুমিরের মাথার থেকে চওড়া ও লম্বাটে। সম্ভাবতঃ এই ঘড়িয়াল থেকে পরবর্তীতে ঘড়িলাল নাম করণ করা হয়েছে।

          ঘড়িলাল বাজারটি কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত। এখানে বহু বসতি দোকান-পাট রয়েছে। এই সব দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় বিক্রয় হয়। তা ছাড়া এখানে সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে। অর্থাৎ সপ্তাহে প্রতি শুক্র ও সোমবারে হাট বসে। এসব হাটে কাঁচা তারি-তরকারী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি পাওয়া যায় এবাজারে ও হাট বারে বেশ লোক সমাগম ঘটে।

          এ ইউনিয়নের জোড়শিং নামক বাজার টি ও বেশ বড়। এখানে খুলনা থেকে সরসারি লঞ্চ যাতায়াত করে। সুদীর্ঘ বছর যাবৎ এ লঞ্চ চলাচল করে আসছে। সুন্দর বন থেকে ধৃত নানা প্রজাতির মাছ এ জোড়শিং বাজারের বিভন্ন ডিপুর মাধ্যমে লঞ্চ যোগে খুলনা সহ দেশের নানা স্থানে রপ্তানী করা হয়। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ সহ অন্যান্য জিনিস পত্র আমদানী রপ্তানী করা হয়। সে হিসেবে জোড়শিং বাজাকে একটি মোকাম হিসেবে ধরা হয়। শুধু মাছ নয়। সুন্দরবনের কাঠ, গোলপাতা মধু ও মৎস্য সহ বিভিন্ন জিনিস রপ্তানী করা হয়। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫-৭ মেঃ টন গলদা, বাগদা সহনানা প্রজাতির মাছ ও কাঁকড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করা হয়। প্রচুর শুটকী মাছ ও রপ্তাসী হয়। বেশ কিছু বসতি দোকানুপাট রয়েছে এ বাজারে। সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে এখানে। যথা- (১) শুক্র ও (২) সোমবার। এ হাটে ও বাজারে যেমন লোক সমগম হয়, তেমনি বেচা-কেনাও হয় প্রচুর। সুন্দর বনের অভ্যন্তরে কর্মজীবী মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র এখান থেকে ক্রয় করে। বাজারের উপর অবস্থিত ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি পোষ্ট অফিস।

          এরপর ধরা যায় আংটিহারা গ্রামের হাট। এখানেও প্রতি সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে। রবি ও বৃহস্পতিবরে এ স্থানে হাট হয়। এ হাটে প্রচুর লোক জনের ভীড় জমে। বিশেষ করে এ হাট-বাজার গুলো সুন্দর বনের একেবারে ধারে অবস্থিত হওয়ায় এখানে নিদিষ্ট দিনে সীমিত জিনিস পত্রের বাইরে কিছু পাওয়া যায় না। এরপর ছোট আংটিহারা নামক গ্রামের খাল ধারে সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে। এ হাট দু’টি যথাক্রমে শনি ও বুধবারে হয়।